রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আগুন পুড়ছে সুন্দরবন, নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কালের খবর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক – শিপ্রা রানী দে। কালের খবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারুণ্যের অহংকার আবিদ হাসান রুবেল। কালের খবর কক্সবাজারে সাইফুল বাহিনীর প্রধান গ্রেপ্তার। কালের খবর তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর
লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ রহস্যগুলোর আজো কোনো উত্তর মিলেনি

লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ রহস্যগুলোর আজো কোনো উত্তর মিলেনি

শায়েখ আহম্মেদ সুজন: ঢাকার ভেতর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই লালবাগ কেল্লা। প্রাচীন নিদর্শনটিকে ঘিরে লোকমুখে প্রচলিত রহস্যগুলোর আজো কোনো উত্তর মিলেনি।

লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ পরিচিতি
সুবেদার আজম শাহ ১৬৭৮ সালে ঢাকায় একটি প্রাসাদ দুর্গ নির্মাণে হাত দেন। তখন ঢাকার সুবেদারদের থাকার জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা ছিল না। স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করতে আসা সুবেদাররা ঢাকায় স্থায়ী ভবন নির্মাণে কোনো উৎসাহ দেখাননি। যুবরাজ আযম শাহ প্রথম এই উদ্যোগ নেন। তিনি অত্যন্ত জটিল একটি নকশা অনুসরণ করে দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। তিনি দুর্গের নামকরণ করেন কিল্লা আওরঙ্গবাদ। কিন্তু পরের বছর সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে দিল্লি ফেরত পাঠান। ফলে দুর্গের কাজ অসমাপ্ত রেখে তাঁকে দিল্লি চলে যেতে হয়।
সুবেদার হয়ে দ্বিতীয়বারের মত ঢাকা আসেন শায়েস্তা খাঁ। যুবরাজ আযম শাহ তাঁকে লালবাগ দুর্গের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করেন। শায়েস্তা খাঁ দুর্গের কাজ পুনরায় শুরু করেন কিন্তু ১৬৮৪ সালে তাঁর অতি আদরের মেয়ে পরিবিবি অকস্মাৎ মারা গেলে তিনি অশুভ মনে করে এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এর পরিবর্তে নির্মাণ করেন চিন্তাকর্ষক পরিবিবির মাজার বা পরিবিবির সমাধিসৌধ !
এরমধ্যে লালবাগ দুর্গের প্রায় ১২ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যায়। দুর্গের নিয়ম অনুযায়ী একটি ভূগর্ভস্থ পথও নির্মাণ করা হয়। আত্মরক্ষা কিংবা প্রয়োজনবশত পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণত এ পথ ব্যবহৃত হয়। দুর্গের দক্ষিণ-পূর্ব দেয়ালের সঙ্গে যুক্ত আছে এ সুড়ঙ্গ পথটি।

প্রচলিত সুড়ঙ্গের রহস্য
লালবাগ কেল্লার নিচে রয়েছে অনেকগুলো সুড়ঙ্গ। এগুলো জমিদার আমলে তৈরি করা হয়। জমিদাররা বিপদের সময় এসব সুড়ঙ্গ পথে পালিয়ে যেতেন। তেমনই একটি সুড়ঙ্গ আছে এখানে, যার ভেতরে কেউ ঢুকলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না।
অর্থাৎ কেউ এই সুড়ঙ্গের ভেতর প্রবেশ করলে সে আর ফিরে আসে না। পরীক্ষা করার জন্য একবার ২টা কুকুরকে চেইনে বেঁধে সেই সুড়ঙ্গে নামানো হয়েছিলো। চেইন ফেরত আসলেও কুকুর দু’টো কিন্তু ফিরে আসেনি।
সুড়ঙ্গ সম্পর্কে যুক্তিগত মতামত
স্থাপত্যবিদদের মতে, এ পথটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে টঙ্গী নদীর সঙ্গে যুক্ত। আবার কেউ মনে করে, এটি একটি জলাধারের মুখ। এর ভেতরে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। মোঘলদের পতনের পর লালবাগ দুর্গ যখন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়, তখন ঢাকাবাসীর সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই সুড়ঙ্গ। আর তখন থেকেই নানা মুখরোচক কাহিনী চালু হয় সুড়ঙ্গটি নিয়ে।
যেহেতু সুড়ঙ্গ পথের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ পর্যন্ত প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ হয়নি, তাই এটি নিয়ে নানা কল্পকাহিনী চালু আছে। এ কারণেই এ সুড়ঙ্গ পথটি ঢাকার আদি বাসিন্দাদের কাছে এক বিরাট রহস্য। তাই আজও এই সুড়ঙ্গের সামনে তারা জড়ো হয়ে দাঁড়ায়। জানমালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় বা কৌতূহলবশত কেউ যেনো এর ভেতরে প্রবেশ না করে, সেজন্য সুড়ঙ্গমুখে গেট নির্মাণ করে তাতে তালা দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com